কত সুন্দর মিনিংফুল একটি ছবি। ইগো, অহংকার, রাগ এসবের মধ্যে আমরা বন্দি। অথচ সবার ভেতরেই একটা শিশু সুলভ মন আছে। যে মিশতে চায়। মিলে মিশে থাকতে চায়। কম্প্রোমাইজ করতে চায়। কারণ এই পৃথিবীতে আমরা অনেক একা। বড় একা।
তারা ভরা রাতে ছাদে শুয়ে নিরিবিলি আকাশের দিকে তাকালে বুঝা যায় কত ছোট আমাদের পৃথিবী।
তার মাঝে কত কত ক্ষুদ্র আমরা।
ওই দিন আমার এক ফ্রেন্ড খুব হাইথট একটা কথা বলল। ওর কথাটা আমাকে অনেক্ষন ভাবিয়েছে।
বলল, তোর হাতের মোবাইলটার মালিক তুই, মানে এই মোবাইলটা তোর কিন্তু মোবাইলটা কিন্তু তুই না। তেমনি এটা তোর হাত কিন্তু হাতটা তুই না। তোর হাতটা কেটে ফেলেও তুই বেঁচে থাকবি। এই পা, মাথা সব কিছুই তোর কিন্তু কোনটাই তুই না। তাহলে তুই কে? হু আর ইউ? হয়ার আর ইউ?
আমি কিছুক্ষন টাসকি খেয়েছিলাম। আসলেইতো আমি কে? আমার পরিচয় কি? আমার দেহের ভেতর তন্ন তন্ন করে খুঁজে কোথাও আমাকে পাইনি। তার মানে জ্বীন ভুত মানুষের উপর যেভাবে ভর করে আমরাও এই দেহটার মধ্যে ভর করে আছি। ব্রেন আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রন করে। আর ব্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করি আমরা। কিন্তু আমি কে? কোথায় আমি? আমার পরিচয় কি?
পৃথিবীর জন্ম থেকে শুরু করে মিলিওন মিলিওন বছর কেটে গেছে। সামনে আরো মিলিওন বছর হয়তো টিকে থাকবে। তার মাঝে আমরা মাত্র কয়েকটা বছর থাকব। পৃথিবীর হিসেবে মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ড আমাদের স্থায়িত্ব।
তবুও কেন এতো মারামারি, এতো হানাহানি, এতো লোভ, এতো লালসা? এতো বিভেদ, এতো দূরত্ব?
নিজের পরিচয় জানিনা অথচ অন্যের জাত বংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলি। হাস্যকর না?
মানুষের দেহের গতি খুব বেশি না। কিন্তু মানুষটার গতি বিদ্যুতের চাইতেও বেশি। মানুষ চাইলে মুহুর্তেই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা চলে যেতে পারে সেখান ধাম করে মঙ্গলগ্রহে।
মানুষ চাইলে পৃথিবীটাকে মুহুর্তেই ধ্বংস করে ফেলতে পারে আবার চাইলে শান্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে।
ভাল থাকুক মানুষ। ইগো, রাগ, হিংসার হাজতে বন্দি না থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পরুক ভালবাসা। একে অপরের সাথে জাপটে লেপ্টে থাকুক।
:সংগৃহীত